নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরের উত্তর রসুলপুর দ্বীন ইসলামের যেভাবে উত্থান। আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ইমরান মিশরী ও বিল্লাল মিশরীর সাথে দ্বীন ইসলামের বন্ধুত্বের সম্পর্ক হয় ওয়াসার উপরে মাদকের স্পট চালাই আর তার কাছ থেকে মাসোয়ারা নেয় দ্বীন ইসলাম। ইমরান মিশরী মাদক ব্যাবসা উত্তর রসুলপুর করতে চাইলে দ্বীন ইসলাম মোটা অংকের মাসোহারা দাবি করে ইমরান মিশরী দিতে রাজি না হওয়ায় একে অপরের শত্রু হয়ে যায়।
দুই পক্ষের মধ্যে হয় সংঘর্ষ তৎকালিন ইমরানের লোকজন দ্বীন ইসলাম এর বাড়িতে কিছু ইটপাটকেল ছোড়ে এবং রাস্তায় কিছু বোমা বিস্ফোরণ করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। ইমরান মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার এলাকার সকল শ্রেণী পেশার লোকজন দ্বীন ইসলামের পক্ষে কথা বলে বৃহত্তম রসুলপুর এর সকল শ্রেণী পেশার মানুষ একত্রিত হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
সে সময় আওয়ামী লীগ নেতা লিটন হাওলাদার কঠোর পরিশ্রম করে এলাকার সকলের সহযোগিতা নিয়ে ওয়াসার পাড়ে পানি নিষ্কাশনে পাম্প বসানোর জন্য একটি জনসভার আয়োজন করে সেই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য একে এম শামীম ওসমান। সেই জনসভায় দ্বীন ইসলাম এমপি শামীম ওসমানের কাছে ইমরান ও বিল্লাল মিশরীর মাদক ব্যবস্যা ও তার উপরে হামলার কথা তুলে ধরেন ও তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কান্নাকাটি করেন।
এমপি শামীম ওসমান সভায় অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন নারায়ণগঞ্জে কোন অপরাধী পার পাবেনা ক্রসফায়ার দেওয়ার হুকুম দেয় পুলিশকে । এর কিছু দিন পরে কদমতলী ও কুতুবপুরে মাঝামাঝি ওয়াসা সংলগ্ন পারে উওর রসুলপুর এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও কিলার বিল্লাল মিশরী বন্দুক যুদ্ধ নিহত হয়।
সে সময় কদমতলী থানার তদন্ত ওসি ছিলেন মোঃ সাজু।(১০-৮-২০১৭ রাত আনুমানিক ৩ থেকে ৪টার মধ্যে কোন এক সময় মাদক ব্যবসা কে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মাঝে গোলাগলি হয় , গুলি বিনিময়ের এক পর্যায় কিলার ও মাদক ব্যবসায়ী বিল্লাল মিশরী ঘটনাস্থানে মারা যায়।
এর আগে কিলার বিল্লাল মিশরীর বড় ভাই ইমরান মিশরী র্যা ব ১০ সাথে বন্দুক যুদ্বে নিহত হয় তার কাছ থেকে ১টি রিভালবার ৫ রাউন্ড গুলি ,মাদক বেচার ৫৯ হাজার ৮শত ৬৬ টাকা ও ২টি মোবাইল ফোন উদ্বার করেন র্যা ব। তাদের দুই ভাইয়ে্র বিরুদ্বে কদমতলী ও ফতুল্লা থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ মোট ১৪ টি মামলা ছিলো।
ইমরান ও বিল্লাল মিশরীর নিহত হওয়ারপর এলাকায় হয়ে যায় দ্বীন ইসলাম এর গ্রহন যোগ্যতা আর সেই থেকেই দিন ইসলাম নেতা বনে যান। আস্তে আস্তে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতে থাকে সেই সময় ফতুল্লা মডেল থানায় ছিলেন ওসি কামাল উদ্দীন তিনি একালা মাদক মুক্ত ও অশান্ত রসুলপর কে শান্ত রাখার জন্য সে খানে একটি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করেন যাতে এলাকায় কনো রকম সমস্যা না হয়।
দ্বীন ইসলাম ফতুল্লা থানা পুলিশের সব রকম সহযোগিতা পেত।আর এই সংযোগ টাই কাজে লাগিয়ে দিলো দ্বীন ইসলাম হয়ে গেলো নেতা ।
তখন থেকেই শুরু হয় তার প্রভাব দ্বীনি ইলম অর্জনের পাঠশালা উত্তর রসুলপুর ইসলামীয়া প্রি ক্যাডেট মাদ্রাসা ভেঙ্গে তৈরী উত্তর রসুলপুর আদর্শ প্রাথমিক উচ্চ বিদ্যালয় স্কূল, মসজিদের কমিটি ভেঙ্গে নতুন কমিটি তৈরি করে নিজে হয় কোষাধক্ষ্য। আর তার ভাই অলিকে দিয়ে শুরু করে ইটা বালু ও রট সিমেন্ট এবং ডিস ব্যবসা ও নিয়ে নেয় তার দখলে এলাকার সাধারণ মানুষ কে জোর পূর্বক তার কাছ থেকে ইটা বালু ও রট সিমেন্ট নিতে বাধ্য করে জিম্মি হয়ে যায় এলাকার মানুষ।
১৪/২/২০২০ তারিখে উত্তর রসুলপুর এলাকার মৃত হাসান শরীফ ছেলে মোঃ ইকবাল মাহমুদ বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করার সময় ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ইকবাল কে মারধর করে। এ ঘটনায় এলাকায় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করে । কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও তার কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বাড়ির কাজ বন্ধ করে দিয়ে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ইকবালের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলা ফোলা জখম করে সাথে থাকা লেভার ও নির্মাণ সামগ্রীর ৯৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় ও হুমকি দিয়ে বলে যদি ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেই তাহলে বাড়ি নির্মাণ করতে দিবে না। চাঁদা না দিয়ে আবার কাজ ধরিলে প্রানে মেরে ফেলবে। এ ঘটনায় দ্বীন ইসলাম ছোট ভাই অলিসহ ৮ জনকে আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানা একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেন যাহার জিডি নং ১১২৫।
এ বিষয়ে দ্বীন ইসলাম বলে আনিতো অভিযোগ গুলো সব মিথ্যে, অশিক্ষিত কোন মানুষ মসজিদ কমিটিতে থাকতে পারেনা। কোন চিঠি পড়ে যদি না শুনাতে পারে তা হলে সে কি ভাবে মসজিদের সেক্রেটারি পদে থাকবে। আর এ কারনেই একটি পক্ষ আমার পিছনে উঠে পরে লেগেছে। *** চলমান——